E-shram Card Application: ভারতের অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার ই-শ্রম কার্ড চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়, যার উদ্দেশ্য হল শ্রমিকদের সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় আনা এবং তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি শ্রমিক এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
ই-শ্রম কার্ডের লক্ষ্য ও সুবিধা
ই-শ্রম কার্ড হলো একটি অনন্য পরিচয়পত্র, যা শ্রমিকদের বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতে সহায়তা করে। এই কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকরা পেনশন, দুর্ঘটনা বীমা, গৃহনির্মাণ সহ অন্যান্য সুবিধা পান।
এই প্রকল্পের মূল সুবিধাগুলি হল:
পেনশন সুবিধা: ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ₹৩০০০ পর্যন্ত পেনশন প্রদান করা হয়।
বীমা সুবিধা: দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবার ₹২ লক্ষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পায়, আর আংশিক অঙ্গহানীর জন্য ₹১ লক্ষ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
মাতৃত্বকালীন সহায়তা: গর্ভবতী নারীরা আর্থিক সুবিধা পান।
শিক্ষা সহায়তা: শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সরকার অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
গৃহ নির্মাণ সুবিধা: গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়।
Read More: স্বল্প সুদে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ!
কে কে আবেদন করতে পারবেন?
আবেদনকারীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যারা কোনও নির্দিষ্ট চাকরির আওতায় নেই বা নির্দিষ্ট আয়ের উৎস নেই, তারা আবেদন করতে পারবেন।
আয়করদাতা এবং EPFO/ESIC সদস্যরা এই কার্ডের জন্য যোগ্য নন।
ই-শ্রম কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া
১. প্রথমে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (eshram.gov.in) যান।
২. রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন এবং মোবাইল নম্বর যাচাই করুন।
৩. ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যাংক বিবরণ প্রদান করুন।
৪. আবেদন জমা দেওয়ার পর তা নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
আধার কার্ড
প্যান কার্ড
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর
ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু বর্তমান আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। আপনি যদি যোগ্য হন, তবে দেরি না করে আজই আবেদন করুন এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন!