Duare Sarkar 2025: সোমবার সন্দেশখালিতে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলবে।
এই উদ্যোগটি দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে, যেখানে সাধারণত সরকারি অফিসে পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই শিবিরের মাধ্যমে সরকার নিজেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। বড় শহরের সরকারি অফিসে যেতে আর তাদের প্রয়োজন হবে না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, প্রতিটি মানুষ যেন তার প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিজের বাড়ির কাছেই পায়।”
তিনি আরও জানান, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে নতুন একটি মহকুমা গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য আরও দ্রুত এবং দক্ষ পরিষেবা নিশ্চিত করবে।
২০২২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সাতটি নতুন জেলা ঘোষণা করেছিলেন, যার মধ্যে বসিরহাট অন্যতম। নতুন মহকুমার ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
সন্দেশখালি এলাকায়, যা রাজনৈতিক দিক থেকে একসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, এবারই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ঘটে। সেই সময়ে তিনি স্থানীয় মানুষের উন্নয়নের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “নদী পেরিয়ে বা দূরবর্তী পথ অতিক্রম করে যেসব এলাকায় মানুষের যাতায়াত কঠিন, সেখানে আরও একবার এই শিবিরের আয়োজন করা হবে।”
তিনি ঘোষণা করেন, শিবিরে কাস্ট সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জমির পাট্টা প্রদানসহ নানা সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হবে।
আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি গঙ্গাসাগর মেলার সময়ও বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হবে। এই মেলা ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন ও ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের পরই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির কার্যক্রম শুরু হবে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করা।