Effect of Artificial Intelligence: আসন্ন ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে বিশাল পরিবর্তন আসবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) ‘ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট ২০২৫’ অনুযায়ী, আগামী দিনে চাকরির সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল, এআই অ্যান্ড মেশিন লার্নিং স্পেশালিস্ট, এবং বিগ ডেটা স্পেশালিস্টদের।
২০৩০ সালের মধ্যে চাকরির বাজারের এ পরিবর্তনের মূল কারণ হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (AI)। ইতিমধ্যেই AI-স্কিলড কর্মীর চাহিদা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেটিভ AI প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে বেশি যুবক-যুবতী আগ্রহী। ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডিগ্রি নয়, দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে।
এই রিপোর্টটি ১,০০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, যাদের মোট কর্মী সংখ্যা ১৪ মিলিয়ন, তাদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এখানে AI ছাড়াও কেয়ার, শিক্ষা, প্রযুক্তি, এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে চাকরি তৈরির সম্ভাবনা উঠে এসেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই AI ব্যবহার করে নতুন চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তবে, AI এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাবের কারণে কিছু চাকরি কমে যাবে, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো পেশাগুলি। অন্যদিকে, কৃষক, ডেলিভারি ড্রাইভার, এবং শিক্ষক সহ মৌলিক চাকরির চাহিদা বাড়বে।
তবে এই পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দক্ষ কর্মীর অভাব। ভবিষ্যতের চাকরি বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য কর্মীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীরও প্রয়োজন হবে, যেমন ধৈর্য, সহনশীলতা, এবং সৃজনশীলতা।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আরও জানায়, আগামীদিনে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫৯ শতাংশ আন্তর্জাতিক শ্রমশক্তির প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে, সরকার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
পরিশেষে, চাকরির বাজারের এই বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে, দক্ষতা অর্জন এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে চলা হবে আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।